জয়যাত্রা

গণতন্ত্র!!! গণতন্ত্রের আগে চাই প্রবৃদ্ধি। উন্নয়ন। দেশের মানুষকে আরো পরিশ্রমী ও কষ্টসহিষ্ণু হতে হবে। তৈরি পোষাক শিল্পে কিছু দুষ্কৃতি মাঝে মাঝে ঝামেলা করে। এদের দমন করতে হবে। তা না হলে বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি খারাপ হয়ে যাবে। শ্রমিকরা কষ্ট করছেন সে কথা সত্যি। কিন্তু তাদের কষ্ট বৃথা নয়। তারা উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন। তারা আমাদের গর্ব। তাদের জন্য বিশ্বব্যাপী আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে। নিজেদের একটু কষ্টভোগের চেয়ে দেশের ভাবমূর্তি অবশ্যই দামী। প্রতিবারের মত এবারও ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষক অবশ্য ধানের দাম ভাল পান নি, বাজারেও চালের দাম চড়াই আছে; কিন্তু তাতে কী! দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিছু ইনডিয়ান চাল আমদানি হয়েছে… আহা, দেশের ব্যবসায়ীদের স্বার্থটাও তো দেখতে হবে! সবচেয়ে বড় কথা, আমরা চাল রপ্তানি করছি! খুবই গর্বের বিষয়! চাল এখন শুধু আমাদের খাদ্যশষ্য মাত্র নয়, তা এখন রীতিমত অর্থকরী ফসল। দুষ্কৃতিদের কথায় কান দেবেন না। কৃষকরা আমাদের অন্নদাতা, ভগবান। তারা দেশের জন্য প্রয়োজনে প্রাণ বিসর্জন দিতে পারেন। সেইজন্যেই কবি বলেছেন, “সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা।” আহা! কী ভাষা! খাসা! দেশে এখনো বিদ্যুতের চরম ঘাটতি। পরমাণু শক্তিচালিত আধুনিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশে তৈরি হবে। কী আনন্দের কথা। ‘পারমাণবিক’ শব্দটার মধ্যেই একটা থ্রিল আছে! একধরনের ঝুঁকিও আছে, কিন্তু উন্নয়নের খাতিরে সে ঝুঁকি জনগণকে মেনে নিতে হবে। সুন্দরবনের উপকণ্ঠে কয়লাভিত্তিক বিশাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে। দুষ্কৃতিরা পরিবেশ রক্ষার অজুহাতে তা বন্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে। আরে, দেশে উন্নয়ন না হলে সুন্দরবন ধুয়ে পানি খাবে পাবলিক? দেশ দুদ্দাড় বেগে এগিয়ে চলেছে ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে। তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধপরিকর। কোনো দুষ্কৃতিই সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছুই করতে পারবে না। হুঁ হুঁ একটা প্রেমপত্রও লিখতে পারবে না। একেই বলে, “দেখিয়াছ ঘুঘু, দেখনাই তার ফাঁদ!” উন্নয়নের বিরুদ্ধে সকল কণ্ঠ, সকল ষড়যন্ত্র দৃঢ়বলে রোধ করা হবে। উন্নয়নের মহাশকট অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাবে। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অশিক্ষা কোনোকিছুই তার গতি রোধ করতে পারবে না।

জয় হোক উন্নয়নের।