কদলীপুষ্প ও গাছপাঁঠা

হাঁসফাঁস লাগছে। বাড়িঅলার ব্যাটার বউ মোচার ঘণ্ট রেঁধে দিয়ে গিয়েছিলো। খেয়েই বুঝলাম দয়া কলার মোচা! সর্বপ্রকার মোচার মধ্যে দয়াকলার মোচাই সবচেয়ে সুস্বাদু। এর পরেই আছে কাঁঠালি কলা, ঠোঁটে কলা আর জিন কলার মোচা। তবে কাঁচকলার মোচাটা বিচ্ছিরি। তিতকুটে। আর যাই হোক শ্রীমতির রান্নার হাতটি বেড়ে। মোচাটা জমিয়েছেন ভালো। তবে স্নেহটা (মানে তেলটা) একটু বেশি পড়ে যায়, এই যা (কাঁচা বয়েস, তা তো একটু পড়তেই পারে)। তবে কালে কালে বড় শিল্পী হবেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

খানিকটা এঁচোড় ছিল ঘরে। চিংড়ি দিয়ে কষা হবে বলে রাখা। ও মা! এক রাতের মধ্যে দেখি পেকেটেকে হলদে হয়ে গেছে! তার কোষগুলো ফেলে দিয়ে শুধু বিচিগুলো আলু দিয়ে একটা দম মত হয়েছে। সাথে ডাঁটা দিয়ে মটরের ডাল। শেষে অম্বল। আমের। এখানেই শেষ নয়। সব কিছুর সাথে সেই মৌরলা মাছ আর চিংড়ি ডুবো তেলো পাঁপড়ের মত করে ভেজে তোলা। কামড় দিয়ে খাওয়ার জন্য। আহা! কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর? শেষে সর্বরসের নির্যাসসমৃদ্ধ সুরুয়াটুকু এক চুমুকে সাবাড় করে টলতে টলতে উঠে দাঁড়ালাম। একেই বলে ‘উকুন মারা খাওয়া’‒ পেটে উকুন রেখে চাপ দিলে পটাস করে ফেটে যাবে।