ডুমুর

কদিন ধরেই মনটা আনচান করছিল। এ গরমকালটা বড্ড বেরসিক। মাছ তো খাওয়া যাবে না। বোশেখ মাস। এখন মাছ খেলে সারাবছর খাবো কী! তরিতরকারিও সুলভ নয়। পেটে চরা পড়ে যাবার কায়দা। জিহ্বা আড়ষ্ট হয়ে আসে। মুখের কথায় মিষ্টতা যায় কমে। এহেন নাজুক অবস্থায় যার জন্য পেট চুঁই চুুঁই করছিল, সে বস্তু আবার সেরদরে বাজারে মেলে না। ক্বচিৎ-কদাচিৎ মেলে। সেদিন স্নেহপ্রতিম স্যাঙাৎ রনির বাড়ি গিয়ে চোখ আটকে গেল সে জিনিসের দিকে। রনি একগাল হেসে বললো, “পৌঁছে যাবে।” কাল সকালে দেখি বাড়ি বয়ে এসে দিয়ে গেছে আমার ভাইটি। ডুমুর।

বাঙাল মুলুকে দুই ধরণের ডুমুর আমার চেনা। একটি হলো জগডুমুর। জগ এসেছে যজ্ঞ থেকে। যজ্ঞকর্মে এ গাছের ডাল লাগে। তাই এরকম নাম। এ ডুমুরগুলো আকারে বেশ বড় বড় হয়। খেতেও মন্দ নয়। তবে সবাই খায় না। আর হলো সাধারণ পাতি ডুমুর। এটিই এদেশে বহুল প্রচলিত ও জনপ্রিয়। খুবই সুস্বাদু ও উপাদেয় বস্তু। ডালের সাথে চাক চাক করে ডুবো তেলে ভাজা ডুমুরের মত জিনিস খুব কমই আছে। আজকে রান্না হয়েছিল মাঝারি আকারের চিংড়ি সহযোগে। এ বিরস বৈশাখে বহুদিন পর রসনা তৃপ্ত হলো খানিকটা। উদরও।