জলে জন্মায় যাহা

জীবনে কিছু দায় আছে যা এড়ানো যায় না। আর কিছু আনন্দ আছে যার লোভ ছাড়তে পারি না। সেই জন্যেই বেঁচে থাকি। কালকে বাড়ি ফেরার পথে দেখি মোড়ের মাথায় তরকারির দোকানে দশাসই পানিকচু সব সাজিয়ে রেখেছে। আমাকে যারা চেনেন, তারা জানেন, কচুর প্রতি আমার কিঞ্চিৎ বিশেষ দূর্বলতা আছে। কচুগুলোর যে সাইজ, তা আমার পরিবারের জন্য বাহুল্য। কুল্লে তিনজন মানুষ; তিনজনের খাবার রীতি তিনরকম। অতএব, মাঝারি সাইজের একটা কচু নিয়ে বাড়ি ফিরলাম। সেই কচুর কন্দ আজ সকালে বেগুনের মত চাক-চাক করে পেঁয়াজ দিয়ে ভাজা হয়েছে। আক্ষরিক অর্থেই মাখন যাকে বলে। ভাতের সাথে মিলেমিশে একাকার। ভাত মেখে মুখে দিতেই মুখের মধ্যে যে আরামটা তৈরি হলো তার সাথে কেবল কোমল গান্ধারেরই তুলনা চলে। পণ্ডিতজনেরা মুখ গম্ভীর করে বলেন, মানুষ খাওয়ার জন্য বাঁচে না। আমি বলি, আমি বাঁচার জন্য খাই তো বটেই, খাওয়ার আনন্দেও বেঁচে থাকি। যা হোক, শাকটা এখনো রান্না হয় নি। কাল হবে। রসিকজনের নিমন্ত্রণ রইলো।